রান্না-রেসিপি

পানির আয়রনের কারনে চুলে জট? দেখুন উপায়

অনেক সময় পানির সমস্যার কারনে চুলে জট বাধে, চুলে নানা রকম সমস্যার দেখা দেয়। চুলের আগা ফাটা এমন কি অপুষ্টির কারণ হতে পারেন পানি। তাই চুল ধোঁয়ার জন্য বিশেষ কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করতে হয়। সেসব কথাই জানাবো আজ।

আগে জেনে নেই কি করে বুঝবেন আপনার পানিতে ক্ষারের পরিমান বেশী আছে নাকি?

নিচের উপায় গুলোতে আপনি বুঝতে পারবেন আপনার এলাকার পানিতে আয়রন বা ক্ষারীয়।

পানির পাত্রের নিচে লালচে হলুদ আয়রন জমে থাকবে,পানির স্বাদ ক্ষারীয় হবে। পানির কলের মুখে আয়রনের স্থায়ী দাগ বসতে পারে। পানিতে খনিজ পদার্থের গন্ধ থাকতে পারে। পানি ফুটানোর হাঁড়ির তলায় আলাদা পুরু একটা স্তর পড়ে যাবে। পানির জন্য ফিল্টার ব্যবহার করলে ফিল্টার এর সাদা অংশ খুব দ্রুতই লালচে হবে।

পানি যদি ক্ষারীয় হয়ে থাকে তাহলে চুলে নানা রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই কারণ আপনার চুল খুব দ্রুত পুষ্টি হারাবে। চুল হবে রুক্ষ। চুল পড়া শুরু হবে। চুলের উজ্জ্বলতা অনেক কমে যাবে।

এবার জানুন যাদের এলাকার পানি ক্ষারীয়, তারা চুলে কি ব্যবহার করবেন।

গোসলের সময় শাওয়ারের মুখে ফিল্টার ক্যাপ ব্যবহার করুন। এতে পানির অনেকটা ক্ষার ফিল্টার করবে, তাতে কিছুটা হলেও এর তীব্রতা কমবে।
বর্ষাকালে চুল ধোঁয়ার কাজে বৃষ্টির পানি ব্যবহার করুন। এতে কোন ক্ষারীয় পদার্থ থাকেনা বললেই চলে। চুলে তেল দেওয়ার সময় ২টি ভিটামিন ই ক্যাপসুল ভেঙ্গে দিতে পারেন। এটি চুলের রুক্ষতা কে প্রতিরোধ করে।

সপ্তাহে একদিন ৩ ভাগ অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার ও ১ ভাগ ডিসটিলড ওয়াটার মিশিয়ে চুলে মাস্ক এর মতো লাগিয়ে রাখুন ৩০ মিনিট, এরপর ঠাণ্ডা পানিতে চুল ধুয়ে ফেলুন।

সাদা সিরকা ২ মগ পানিতে ৩ টেবিল চামচ সাদা সিরকা মিশিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন উপকার পাবেন।

Chelating shampoo ব্যবহার করতে পারেন। এটি পানির কারণে সৃষ্ট রুক্ষতাকে কমিয়ে চুলকে যথাসাধ্য স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। তবে এর সঙ্গে কন্ডিশনার ব্যবহার করা আবশ্যক। দেশে এই জাতীয় শ্যাম্পু খুব একটা পরিচিত নয় বিধায় খুঁজে নাও পেতে পারেন। অনলাইন পেজে খোঁজ করলে মিলেও যেতে পারে। না পাওয়া গেলে শ্যাম্পুর বোতলের উপকরণে ETDA সমৃদ্ধ কিনা, তা দেখে নিন। কারণ এটি Chelating শ্যাম্পুরই বিকল্প হিসেবে কাজ করে।