ডেস্ক ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১২:০০ ঘটিকা ১৯২ ০
সব নারীর যেন একই অভিযোগ, স্বামী কোন কথাই শুনতে চান না। অনেকে বলে থাকেন স্বামী যদি আমার কথা একটু শুনতো, তাহলে আর এতো কস্ট থাকতো না। এ চাওয়া এতোটাই যে, এই আক্ষেপ বাসা বা অফিস কোথাও চাপা থাকে না। নারীদের আড্ডাই শেষ হয় এই বিষয়ে। কিন্তু আক্ষেপ তো কমে না।
তবে শুধু শাসন করার চেস্টা করলে বিপদে পড়ার আশঙ্কা থাকে। তাই কিছু কৌশল মেনে চললে স্বামীর মন জয় করতে পারেন। চেস্টা করে দেখুন। কাজে লাগলেও লাগতে পারে।
সব সময় নরম মনোভাব ধরে রাখবেন না। নরম মনোভাব আপনার স্বামী পছন্দ করবে ঠিকই। তবে দিন শেষে আপনারি ক্ষতি। নিজের চুক্তি দেখিয়ে প্রতিবাদ করতে শিখুন। নাহলে ভবিষ্যতেও হা তে হা মেলাতে হবে না তে না।
স্বামীর অনুভুতির খেয়াল রাখুন। তার পন পড়ার চেস্টা করুন। তার ভালোলাগা খারাপ লাগা বুঝার চেস্টা করুন। কথার বিপক্ষে কথা বলে খুব বেশি চটাতে যাবেন না। মাঝে মধ্যে উপহার দিতে পারেন। অফিস থেকে ফেরার আগেই তৈরি করে ফেলতে পারেন তার পছন্দের খাবারটি।
উৎসাহ দিন তাকে। কথায় কথায় তার ভুল না ধরে, নিজের উপর নিয়ন্ত্রন রাখুন। সময় মত বুঝিয়ে বলুন। হতেই পারে হাজারো সাবধান করা সত্ত্বেও স্বামী কোনো বড় ধরনের ভুল করে ফেলছেন তবে মানিয়ে চলার চেস্টা করুন। তাতে আপনার উপর তার ভালোবাসা বাড়বে ছাড়া কমবে না।
কাজের চাপের কারনে ভুলে যাওয়া কাজ গুলো মনে করিয়ে দিন। তার উপর না চটে মনে করিয়ে দিন। কারন কাজের চাপে কিছু ভুলে যাওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়।
অফিসের কাজের পাশাপাশি ঘরের কাজেও তাকে দায়িত্ব দিন। এই যেমন দুপুরে কি খাবেন বা কোন এক দিনের খাবার তৈরির দায়িত্ব তাকে দিতে পারেন। তবে অবশ্যই তদারকি করতে ভুলবেন না।
চোখে আঙুল দিয়ে স্বামীকে তার বদভ্যাসগুলো দেখিয়ে দিন। বার বার বলা সত্ত্বেও যদি বদভ্যাস না ছাড়েন তাহলে প্রয়োজনে কড়া কথা বলতেই হবে।
আগেই বলেছি, সারাদিন স্বামীর ওপরে খিট খিট করা মোটেই বুদ্ধিমানের কাজ নয়। স্বামীকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য নিজেকে তার দ্বিগুণ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। খিটখিট, ভুল করলে চোখ রাঙানো বা কড়া কথা তো চলতেই থাকবে। এটা ভাবার কোনো কারণ নেই যে, আপনার সব কথা কলুর বলদের মতো স্বামী মেনে চলবেন। দিনের শেষে কিন্তু স্বামীকে এটা বোঝানো হবে যে, আপনি তাকে কতটা সম্মানের চোখে দেখেন।
তাহলে আর আফসোস না করে কাজে লেগে পড়ুন, টিপস গুলো মেনে ফল পেলে জানাতে ভুলবেন না কিন্তু।