ডেস্ক ১৩ জুলাই ২০১৯ ১১:৩৬ ঘটিকা ৩৯৬ ০
আমাদের অনেকের আয়ের থেকে ব্যয় বেশি। আয় ও ব্যায়ে ভারসাম্য না থাকলে সংসারে উন্নতি করা খুব কঠিন। দিন দিন আমাদের জীবন যাত্রার ব্যয় বেড়েই চলেছে। তাই এখন অর্থ সঞ্চয় করা অনেক কঠিন হয়ে গিয়েছে। তবে এই খরচের মধ্যেও চাইএ আপনি কিছু সঞ্চয় করতেই পারেন। আজ টাইমস অফ ইন্ডিয়া অনুকরনে কিছু পরামর্শ রইলো আপনাদের জন্য।
আমরা অনেকেই কার্ডে বা মোবাইল ব্যাংকিং এ কেনাকাটা করে থাকি। আবার অনেকেই ক্রেডিট কার্ড থাকায় অনেক সময় অতিরিক্ত খরচ করে ফেলি। যা মোটেই কাম্য নয়। মাস শেষে তখন আমাদের মাথায় হাত পরে। কার্ডে কেনাকাটা শুরু করলে খরচের প্রবাহ কমানো খুব মুশকিল। তাই কার্ডে কেনাকাটা না করে নগদে কেনাকাটা করাই ভালো।
ইলেক্ট্রিসিটি বিল একটা বড় খরচের খাত। অনেক সময় আমরা সচেতন না হওয়ায় মাস শেষে বড় সড় একটি বিল চলে আসে। তাই যে সব ডিভাইস ব্যবহার করেন সেগুলো ব্যবহার করার পরে বন্ধ করে দিন। এসি রাতে স্লিপ মোডে দিয়ে ২-৩ ঘন্টা টাইমারে দিয়ে দিন। এসি কেনার সময় ইনভার্টার এসি কেনার চেস্টা করুন। রাতে ঘুমানোর আগে বাথরুমের লাইট বন্ধ করেছেন কিনা দেখে নিন।
এসি ব্যবহার করলে এসির তাপমাত্রা ২৫ এর নিচে দেবেন না। ২৫ এ দিয়ে হালকা করে সিলিং ফ্যান চালু করে দিন। এতে আপনার বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে। মনে রাখবেন এসি চালু হওয়ার সময় অনেক বেশি বিদ্যুৎ খরচ হয়। তাই বার বার অন অফ করবেন না। আপনার রুমের পরিমাপ অনুযায়ী এসি কিনুন। ক্যাপাসিটি এর থেকে বেশি বা কম এসি কোনটাই আপনার জন্য সুখকর হবে না। তাই আপনার রুমের সঠিক ক্যাপাসিটির এসি কেনার চেস্টা করুন।
বাসায় এলইডি বাল্ব ব্যবহার করুন। তাতে আপনার বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে ৫০% পর্যন্ত।
আপনার বাসায় থাকা অপ্রয়োজনীয় বস্তু বিক্রি করে দিন। অনেক সময় আমরা এগুলো বিক্রি করতে চাই না। তবে আপনার প্রতি মাসে কেনা তেলের বোতল, বস্তা, খবরের কাগজ এগুলো একেবারেই অপ্রয়োজনীয়, তাই এগুলো বিক্রি করে দিতে পারেন।
কেনাকাটার ভাউচার অনেকেই সংরক্ষণ করেন না। তবে এখন থেকে সংরক্ষণ করুন। মাস শেষে ভাউচার দেখে আপনার আয় ব্যয় সম্পর্কে ভালো ধারনা লাভ করতে পারেন। এটা দিয়ে কোথায় আপনার খচর বেশি হচ্ছে বা কোথায় আপনার খচর কমানো দরকার সেটা সম্পর্কে ধারনা পাবেন।
আপনার অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কাট করুন। আপনি যদি অনলাইনে সংবাদ পড়ে থাকেন তাহলে খবরের কাগজ না নেওয়াই ভালো। জিমে নিয়মিত না গেলে সদস্যপদ বাতিল করা যেতে পারে। মোবাইল ইন্টারনেট প্যাক ব্যবহার করলে বাসায় ব্রডব্র্যান্ড এর খচর কমাতে পারেন।
মোবাইলের ডাটা সব সময় সচল না রেখে কাজ শেষে অফ করে রাখুন। তাতে আপনার ইন্টারনেটের খচর ও কমবে।
ব্যবহারের পর অনেকেই ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ না করেই অন্য কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এমনটি করবেন না। কেননা, ডাটা কানেকশন সচল থাকলেই আপনার ইন্টারনেট অযথা ব্যয় হবে।
বাইরে খাওয়ার অভ্যাস থাকলে তা ত্যাগ করুন। এটা যেমন আপনার 17ের জন্য খারাপ তেমন আপনার পকেটের জন্যও খারাপ। বাসায় তৈরি করা খাবার খান। অফিসেও বাসায় তৈরি করা খাবার নিতে পারেন। এতে আপনার খরচ অনেকটাই কমে আসবে।
মাসের মাছের বাজার এক সাথে করুন। মশলাও পাইকারি দোকান থেকে এক বারে কেনার চেস্টা করুন। তাতে যেমন ফ্রেশ পাবেন, দামেও পাবেন ছাড়।